স্টাফ রিপোর্টার: বড় বাজেট করার সক্ষমতা সরকারের আছে, এটি নির্বাচনী বাজেট নয় বরং জনগণের উন্নয়নের বাজেট, এমনটাই দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মেঘনা সেতু এলাকায় শুক্রবার (৮ জুন) সকালে বিকল্প ফেরিঘাট নির্মাণের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ঈদে খারাপ রাস্তার কারণে যানজট হবে না বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বড় বাজেট বড় চ্যালেঞ্জ। বড় বাজেট যেহেতু আমরা করেছি, বড় চ্যালেঞ্জও অতিক্রম করবার সাহস আমরা রাখি, সৎ সাহস রাখি। সে কারণেই আমরা বড় বাজেট করেছি। সামাজিক নিরাপত্তার যে নেটওয়ার্ক সেটাই কিন্তু কয়েক লাখ গরিব মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকার আরো যে বিষয় মাথায় রেখেছে, তা হলো গরিব মানুষের স্বার্থটা।’
কাদের বলেন, এমন বড় বাজেট গতবারও ছিল। এ বাজেট বাস্তবায়ন সরকারের একটা চ্যালেঞ্জ। বুঝে বা না বুঝে বিএনপি সবসময়ই বিরোধী কথা বলে থাকে। বড় বাজেট’বাস্তবায়নের মতো সাহস সরকারের আছে বলেও জানিয়ে দেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘বড় বাজেট যেহেতু আমরা করেছি, বড় চ্যালেঞ্জও অতিক্রম করবার সাহস আমরা রাখি, সৎ সাহস রাখি।
গত অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের চেয়ে এবারের আকার বেড়েছে ৯৩ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।
কাদের বলেন, নিরাপত্তার যে নেটওয়ার্ক সেটাই কিন্তু কয়েক লাখ গরিব মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকার আরো যে বিষয় মাথায় রেখেছে, তা হলো গরিব মানুষের স্বার্থটা।
এই বাজেটকে ভোটার তুষ্টির বাজেট বলেছেন সমালোচকদের কেউ কেউ। এর জবাবে সড়কমন্ত্রী বলেন, যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে এটা নির্বাচনের বাজেট নয় এটা জনগণের বাজেট। একটা জনবান্ধব বাজেট হিসেবে প্রস্তাবনা করা হয়েছে। আলোচনা সমালোচনার পর বাজেটে কোনটা থাকবে, কোনটা থাকবে না সেটা দেখা যাবে।
ঈদ যাত্রায় দেশের প্রধান মহাসড়কটির যানজট পরিস্থিতি নিয়ে আগে থেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। কাদের বলেন, সরকার নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মেঘনা ও গোমতি নদীতে ১২ জুন থেকে ফেরি চালু হতে যাচ্ছে। এ কারণে দ্রুত গতিতে রাস্তা ও নদীর ঘাট মেরামত করার কাজ চলছে। ‘বরিশাল থেকে আনা হচ্ছে বিআইডব্লিউটিএর পন্টুন। ইতোমধ্যে গোমতি নদী খনন করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে।’ এরআগে মন্ত্রী মেঘনা ফেরিঘাটের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং বিআইডব্লিউটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।